...........................................shyamalsoft copywrite সুরক্ষিত

বনসাই এর জন্য উপযুক্ত গাছ নির্বাচন :: পর্ব-০৩

বনসাই এর জন্য উপযুক্ত গাছ নির্বাচন ::  পর্ব-০৩
Shyamalsoft


আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু হল বনসাই তৈরির জন্য আপনি কি ধরনের 

বৃক্ষ বাছাই করবেন।একজন বনসাই শিল্পী হিসাবে আমরা সব সময় চাই যে

, আমাদের সমস্ত শৈল্পিক দক্ষতা এবং বিচার বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে একটি 

নির্দিষ্ট প্রজাতির গাছের যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গুলি থাকে সেগুলিকে সুন্দর 

ভাবে ফুটিয়ে তুলে একটি সুন্দর বনসাই উপহার দেয়া। আর একারনে বনসাই 

তৈরির জন্য উপযুক্ত বৃক্ষ নির্বাচন করা খুবই জরুরি। একটি ভালো বীজ 

ছাড়া যেমন ভালো চাড়া গাছ পাওয়া সম্ভব নয় তেমনি ভালো বৃক্ষ ছাড়া 

ভালো বনসাই পাওয়াও সম্ভব নয়। বনসাই এর মূল উপাদান হলো গাছ। এই

 উপাদান সংগ্রহের ব্যাপারে আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বনসাই

 পাত্রে আপনি যে কোন প্রজাতির গাছ বসিয়ে উপস্থাপন করতে পারেন। কিন্তু 

পাত্রে বসানো সেই গাছটি একটি ভাল বনসাই হিসাবে স্বীকৃতি নাও পেতে

পারে। এই কারণেই গাছ বাছায়ের সময় সতর্ক হতে হবে।যে সকল গাছের 

বৃদ্ধি ধীরে ধীরে হয়। গাছের কান্ড মোটা হয়। বছরে একবার পাতা ঝরে।

 গাছের বয়স হলে গাছের ছাল মোটা হয়। গাছের ঝুরি নামে এমন গাছ, 

শিকড় কেটে দিলে ঝুরি গাছের শিকড়ের কাজ করে। গাছ অনেকদিন সতেজ 

থাকে এবং গাছের বয়স অনুযায়ী বেঁচে থাকে। যেখানে বা যেদেশে বনসাই 

করা হবে সে স্থানের আবহাওয়া উপযোগী হতে হয়।


প্রথমেই দেখেনিই বনসাই করার উপযুক্ত গাছ গুলো কি কিঃ

বট,বকুল,শিমুল,পাকুড়,তেতুল,শিবীষ,বাবলা,পলাশ,বিলিতিবেল,ছাতিম,হিজল

,জাম,নিম,বেলি,গাব,শেফালী,

পেয়ারা,হেওরা,ডালিম,তমাল,জাম্বুরা,কমলা,তুলশী,বহেরা,বরই,বর্ডার,কামিনী

,বগুন,মেহেদী,কড়ই,অর্জুন,

জারুল,জুনিপার,নরশিংধ,করমচা,লুকলুকি,কৃষ্ণচূড়া,কদবেল,দেবদারু,

সাইকে,হরিতকি,কামরাঙা,আমলকি,

নীলজবা,লালজবা,কুসুমফুল,এশফেরা,ধানপাতা,অশ্বথ বট,নুডা বট,

পাকুর বট,কাঠলি বট,রঙ্গন ছোট,

রঙ্গন বড়,নিম সুন্দরী,লাল গোলাপ,খই 

বাবলা,কনকচাঁপা,গোলাপজাম,পাথরকুচি,সাদা নয়নতারা,

স্টার কুইন,বাগান বিলাস,হেলিকুনিয়া,লাল টাইমফুল,গোলাপিটা ফুল,

ক্যাকটাসগোল,ক্যাকটাস লম্বা,

পান বিলাস,লালা পাতাবাহার,লাল জামরুল,চায়না বাঁশ,সন্ধ্যা মালতী ,হলুদ,

যজ্ঞ ডুমুর,আলমন্ডা,এলাচি,ঢেড়শ.


এবার চলুন দেখেনেয়াযাক একটি আদর্শ বনসাই উপাদানের সে প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যগুলি থাকবেঃ
  •  ভাল মূল ভিত্তি আছে এমন গাছ।
  •  সুন্দর Trunk-base আছে।
  •  স্বাভাবিক সৌন্দর্য (Natural beauty) আছে।
  •  গাছের বাকলে বয়সের ছাপ আছে।
  •  মূল কান্ডে কোন দাগ থাকবে না।
  •  মূল কাণ্ডের সুন্দর Taper থাকবে।
  •  প্রচুর ডালপালা আছে এবং ডালগুলিতে প্রচুর পাতা আছে।
  •  গাছে পোকার আক্রমন থাকবে না।
  • গাছ একেবারে সু বা রোগা হবে না।
  • প্রকৃতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে টিকে থাকা কষ্ট সহিঞ্চু গাছ।
  • যাদের যথেষ্ট বয়স হয়েছে অথচ তেমন বাড় হয়নি।
উপরের বৈশিষ্ট সম্বলিত বৃক্ষ সংগ্রহ করতে পারলে আপনি একটি সুন্দর বনসাই বৃক্ষ তৈরি করতে পারবেন ।


 সবাই ভালো থাকবেন।



DAEMON Tools Ultra v3.0.0.0309 এর ফুল ভার্সন

DAEMON  Tools Ultra v3.0.0.0309  এর ফুল ভার্সন
Shyamalsoft


DAEMON  Tools Ultra v3.0.0.0309  এর ফুল ভার্সন, যারা গেম খেলেন তাদের নিশ্চয় ডেমন টুল এর কাজ বলতে হবে না।

 এখন জানেন না যারা তাদের জন্য বলছি DAEMON আপনার কম্পিউটার এর ভার্চুয়াল ডিভিডি ড্রাইভ হিসেবে কাজ করবে মানে যে সব গেম বা সফটওয়্যার ISO ফর্মেট এ থাকে তাদের ইন্সটল করতে গেলে আলাদা করে ডিভিডি তে বার্ন করে তারপর ইন্সটল করতে হয়, কিন্তু যদি আপনার কাছে DAEMON  Tools থাকে তাহলে আর টাকা খরচা করে ডিভিডি কিনে বার্ন করার কোন দরকার নেই জাস্ট  ISO ফাইল টি  DAEMON  Tools দিয়ে অপেন করলেই ইন্সটল করতে পারবেন, এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন  DAEMON  Tools কি জিনিস আর  কাজ কী ।

চলুন তাহলে দেখা যাক ডেমন টুলস আলট্রা দিয়ে আর কী কী করা যায় ?

  • যে সব ডিস্ক ইমেজ মাউন্ট করা যায় যেমন *.mdx, *.mds/*.mdf, *.iso, *.b5t, *.b6t, *.bwt, *.ccd, *.cdi, *.bin/*.cue, *.ape/*.cue, *.flac/*.cue, *.nrg, *.isz
  • ডিস্ক ইমেজ থেকে *.mdf/*.mds, *.mdx, *.iso  ফরম্যাট কনভার্ট করা যায় ।
  • ইমেজ ফাইল CD, DVD, Blu-ray তে বার্ন করা যায় ।
  • ডিস্ক ইমেজ কে পাসওয়ার্ড প্রোটেকটেড ।
  • বুটেবেল USB ডিভাইস ।

এবার ডাউনলোড করা যাক

ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন 

 

কীভাবে ইন্সটল করবেন ?

প্রথমে "DAEMONToolsUltra300-0309.exe" সেটআপ ফাইল এ ডাবল ক্লিক করেন তারপর Next, তারপর I Agree তে ক্লিক করুন,

এরপর Licence Type দেখাবে Trial License সিলেক্ট করে Next এ ক্লিক করুন।


ড্রাইভার সফটওয়্যার ইন্সটল করতে বলবে Install এ ক্লিক করুন ।

ইন্সটল প্রোসেস Finish করার আগে Run DAEMON Tools Ultra বক্স টি আনচেক করে দিয়ে Finish এ ক্লিক করুন ।


এবার ডাউনলোড করা ফাইল টির Crack ফোল্ডার থেকে "DTUltra.exe" ফাইল টি কপি করেন, DAEMON Tools এর ডেস্কটপ আইকন এ রাইট ক্লিক করে Open file location সিলেক্ট করলে সফটওয়্যার এর ইন্সটল ফোল্ডার খুলে যাবে সেখানে কপি করা ফাইল টি পেস্ট (Ctrl+V) করে অরিজিনাল ফাইল টি রিপ্লেস করে দেন । 
 

আবার Crack ফোল্ডার এ যান "License.dat" ফাইল টি কপি করে Windows 7/8  হলে [C:\ProgramData\DAEMON Tools Ultra] ফোল্ডার এ পেস্ট করুন Windows XP হলে  [C:\Documents and Settings\All Users\Application Data\DAEMON Tools Ultra] ফোল্ডার এ পেস্ট করুন ।

কাজ শেষ এবার ডেস্কটপ আইকন থেকে DAEMON Tools রান করান ফুল ভার্সন হয়ে গেছে।


এবার যে কোন ডিস্ক ইমেজ ফাইল মানে ISO ফাইল DAEMON Tools Ultra দিয়ে রান করান দেখবেন সেটা আপনার ডিভিডি ড্রাইভ এ ঢুকে যাবে ।
 

কোন প্রবলেম হলে জানাবেন।

পোষ্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
 সবাই ভালো থাকবেন।

Search করুন Search Everything দিয়ে

Search করুন Search Everything দিয়ে

Shyamalsoft

ভুলে যান সব কিছু Search Everything আছে না

বর্তমানে হার্ড ডিস্কের জায়গার পরিমাণ এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে সমুদ্রের সাথে তুলনা করা চলে। ৫০০জিবি , টেরা এখন ছেলে খেলায় পরিনত হয়েছে।  ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন যেটা থাকে তা দিয়ে ফাইল খোজা আর কচ্ছপ দিয়ে রেস খেলা একই কথা
তাহলে উপায়? হ্যা উপায় একটা আছে। আর তা হলো Search Everything নামের ছোট কিন্তু অসাধারণ একটা সফটওয়্যার ব্যবহার করা। কি এমন আছে যা অন্য সফটওয়্যারে নেই?

আপনি একবার ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন এর কার্যকারিতা

Everything search engine এর সিম্পল ফিচারঃ

  • ছোট ইন্সটলেশন ফাইল। (পোর্টেবলও আছে)
  • পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ইন্টারফেস।
  • কুইক ফাইল ইনডেক্সিং। ( সেকেন্ডে ২০০০০ ফাইল)
  • কুইক সার্চ ইঞ্জিন।
  • অল্প রিসোর্স লাগে।
সব চেয়ে বড় কথা হলো সম্পুর্ন ফ্রী। Download 
Download Everything for Windows 2000, XP, 2003, Vista, 2008 and Windows 7


কিভাবে ব্যবহার করবেন? খুব সিম্পল। শুধু আপনার প্রয়োজনিয় ফাইলের নাম লিখবেন আর নিমিষেই সেই ফাইল চলে আসবে। আপনি ইচ্ছা করলে সেখান থেকেই ঐ ফাইল ওপেন করতে পারবেন। Tools থেকে আপনার প্রয়োজনমতো কাস্টমাইজ করে নিন।
তাহলে এত কষ্ট করে ফোল্ডার লোকেশন মনে রাখার কি দরকার? Everything search engine আছে না!

ডাউনলোডঃ

ইন্সটল করার পর কিছুক্ষন সময় দিন ইনডেক্স করার জন্য। তারপর কম্পিউটার আপনার হাতে মুঠোয়!
ধন্যবাদ সবাইকে। আশা করি সবার কাজে লেগেছে।

নিজেই বানাই চমৎকার বনসাই- পর্ব-২

Shyamalsoft


আপনি যখন নিজে বাড়িতে বনসাই বানাবেন তখন ঠিক কি ধরনের বনসাই বানাবেন তা নিশ্চই আপনাতে ঠিক করে নিতে হবে। আপনারা যারা বনসাই এর ব্যাবসার মাধ্যমে অর্থ  উপার্যন করতে চান তাদের মোটামুটি সব ধরনের বনসাই বানানো শিখতে হবে । আর যারা শখের বসে শিখতে চান তারা এখান থেকে যে কোন একটি শিখে নিতে পারেন।

সব বনসাই বানানোর প্রকৃয়া একই রকম শুধু আকৃতি দ্বানের ক্ষেত্রে প্রসেসিং আলাদা। আমি এখানে যত ধরনের বনসাই এর ব্যাপারে আলোচনা করব তার সবগুলোর আকৃতিদ্বানের বিষয়েও পরবর্তিতে আলোচনা করা হবে।

এবার আসুন যানি আকৃতির উপর ভিত্তি করে বনসাই কে কত ভাগে ভাগ করা যায়

আকৃতির উপর ভিত্তি করে মূলত বনসাই বিভিন্ন প্রকার হয়। তবে প্রধানত ১১ ধরনের বনসাই এর চাহিদা ব্যাপক এগুলো হলঃ

১। টুইনট্রাংক বনসাইঃ বনসাই বৃক্ষ টবের উপর বা বৃক্ষের গোড়া হতে দুটি কান্ডের সৃষ্টি করলে তাকে টুইনট্রাংক বনসাই বলা হয়। নিচের চিত্র দেখুন



২। ট্রিপল ট্রাংক বনসাইঃ বনসাই বৃক্ষ টবের উপর বা বৃক্ষের গোড়া হতে তিনটি কান্ডের সৃষ্টি করলে তাকে ট্রিপল ট্রাংক বনসাই বলা হয়। নিচের চিত্র দেখুন




ট্রিপলট্রাংক বনসাই
৩। মাল্টিট্রাংক বনসাইঃ বনসাই বৃক্ষ টবের উপর বা বৃক্ষের গোড়া হতে তিনটির বেশি কান্ডের সৃষ্টি করলে তাকে মাল্টিট্রাংক বনসাই বলা হয়। নিচের চিত্র দেখুন



মাল্টিট্রাংক
৪। ডেড উড বনসাইঃ এক্ষেত্রে বনসাই এর পাতা সবুজ হলেও কান্ড মড়া কান্ডের ন্যায় সাদা বা অন্য কোন মৃত বর্নের হয়ে থাকে। এরূপ বনসাই কে ডেড উড বনসাই বলে। চিত্র দেখুন


৫। ফরমাল বনসাইঃ সাধারন মানের যেসব বনসাই বানানো হয় সেগুলোকে ফরমাল বনসাই বলাহয়। ফরমাল বনসাই এর কান্ড সাধারনত সোজা হয়।



৬। এনফর্মাল বনসাইঃ ফরমাল ও এনফরমাল বনসাই প্রায় একই তবে এনফরমাল বনসাই এর কান্ড গুলোতে সাধারনত ভাজ থাকে..



এনফরমাল বনসাই

৭। লিটারেটি বনসাইঃ এধরনের বনসাই এ কান্ড সাধারনত সরু হয় এবং মাথার ভাজ থাকে ও সামান্য পরিমানে পত্রক দেখা যায়।



লিটারেটি বনসাই
৮। রুট এক্সপোজ বনসাইঃ এধরনের বনসাই তৈরির ক্ষেত্রে সাধারনত শিকরের উপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। এক্ষেত্রে গাছের প্রায় অর্ধেক অংশে শিকর প্যাচানো অবস্থায় থাকে।



রুটএক্সপোজ
৯। রুট ওভার রকঃ এধরনের বনসায়েও মূলেন উপর বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। এধরনের বনসাইয়ে মুল কোন অবলম্বনে ঘড়ির কাটার দিকে প্যাচানো থাকে।



১০। সেমিচ্যাসিড বনসাইঃ এধরনের বনসাই এ বৃক্ষ প্রথমে টব হতে সামান্য উপরে উঠে আশে ও পরবর্তিতে তা এক পাশে হেলে গিয়ে নিচের দিকে নামতে থাকে অনেকটা কোন পাহাড়ের ঢালে যে ভাবে গাছ নিচের দিকে নেমে আসে।



১১। উইন্ডস্টেপ বনসাইঃ বড় ধরনের বায়ু প্রবাহ বা ঝড়ের মধ্যে পড়লে সমগ্র বৃক্ষ যেমন বাতাসের ধাক্কায় বাতাসের দিকে হেলে যায় ঠিক তেমন গঠনের বনসাইকে উইন্ডস্টেপ বনসাই বলে।



উপরে বর্নিত বনসাই এর প্রকরন গুলো ছাড়াও আরও অনেক প্রকারের বনসাই আছে যা নিয়ে সারা জীবন লিখলেও আসলে শেষ হবে না। আমি মূলত এখানে ধারাবাহিক ভাবে যে বনসাই গুলো নিয়ে আলোচনা করব সে গুলোই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। 


(বনসাই পরিচিতি) পর্ব -১

Shyamalsoft

বনসাই কি?

বনসাই এর পারিভাষিক অর্থ জীবন্ত ভাস্কর্য৷ বনসাই এর ইতিহাস বহু পুরানো ।ধারণা করা হয় প্রায় ২০০০ বৎসর পূর্বে চীনে এর শুরু হয় এবং পরবর্তীতে চীনের অন্যান্য অঞ্চল, জাপান, কোরিয়া ও ভিয়েতনামে বিস্তৃতি লাভ করে । বাংলাদেশেও এখন উন্নত মানের বনসাই কালচার চালু রয়েছে এখন এসব বিদেশেও রপ্তানি করা যায় ৷

বনসাই বলতে বুঝায় বৃক্ষ জাতীয় যে কোন গাছকে (ফলজ ও বনজ) তার আকৃতি ঠিক রেখে সেগুলোর নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যসহ বিভিন্ন প্রকার টবে ধারণ করা৷ বনসাই চাষের মাধ্যমে অল্প পরিসরে প্রকৃতিকে উপলব্ধি করা যায়৷

বড় গাছকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় যত্ন করে নিদিষ্ঠ আকার প্রদান করা বা ছোট করার

নাম বনসাই। যেমন: বটবৃক্ষের মতো বড় গাছকে সুদৃশ্য মাটির টবে লাগানো
 
হয়। এবং নানা রকম শৈল্পিক কার্যক্রমে তাকে বাড়তে দেয়া হল না। কয়েক 

বৎসরের পরিচর্যায় ছোট্ট মাটির টবের বট গাছ পেল বামন বটের রূপ। কান্ড, 

ডাল-পালা, পাতা সবই পূর্ণাঙ্গ বটের মত, শুধু আকার আয়তনে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র। 

বৃক্ষের সর্বত্র বয়সের চিহ্ন। এমনকি সরু সরু তরুলতাও ঝুলতে লাগলো, 

বটবৃক্ষের ডাল থেকে। এ রকম একটি টবে জন্মানো বটবৃক্ষ বাড়ির বারান্দায় 

কিংবা সুসজ্জিত ড্রয়িং রুমে রেখে দিলে কার না নয়ন জুড়াবে?

বট গাছের বনসাই
 এই যে আকার আয়তনে ছোট অথচ এর সবকিছুই জমিতে লাগানো বিশাল 

বৃক্ষর মত স্বাভাবিক মনমুগ্ধকর, নয়নলোভন রূপ-এরই নাম ‘বনসাই’!


বনসাই এর উদ্ভব চিন-এ হলেও এর প্রথম বিস্তার লাভ হয় জাপানে এমনকি 

বনসাই নাম করনও হয় জাপানে এবং ‘বনসাই’ শব্দ টিও জাপানী শব্দ। শত 

শত বছর ধরে জাপানীরা বনসাই সম্মন্ধে হাতে-কলমে চর্চা করে আসছে। 

বনসাই শিল্পে সারা বিশ্বে এখনো তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব অক্ষুন্ন রেখে চলছে। 

জাপানীদের অনেক পরিবার  বংশগতভাবে এর চর্চা করে চলছে। যাহোক 

বনসাই বিষয়ে আমাদের দেশের খুব সীমিত সংখ্যক মানুষ জানলেও 

অধুনা অনুষ্ঠিত বৃক্ষমেলা ও বিভিন্ন নার্সারীতে এর উপস্থিতি সংস্কৃতি মনস্ক 

মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তকে বেশ আগ্রহী করে তুলেছে।


যাই হোক হয়তো এমন দিন বেশি দূরে নয় যে, শহর অঞ্চলের প্রতিটি 

সৌন্দর্যমনস্ক পরিবারের বারান্দায় কিংবা ড্রয়িংরুমে অন্ততঃ একটি বনসাই 

শোভা পাবে। সেক্ষেত্রে নিজে তৈরি না করলেও  নার্সারী থেকে বিত্তবান ও 

সৌখিন লোকেরা কিনতে ভল করবে না।

বনসাই অত্যন্ত দামী তরুশিল্প। বনসাই করা সময় সাপেক্ষ এবং এক মহান 

শিল্পকর্ম। এর জন্য সারা বছর ধরে পরিচর্যা করতে হয়। অনেকের মতে, 

বনসাই হলো এমন এক মহান শিল্পকর্ম যার জন্য দরকার কবির মত 

কল্পনাশক্তি, হস্তশিল্পীর মত সুদক্ষ হাতের কাজ, চিত্রশিল্পীর মত দৃষ্টির 

গভীরতা এবং অভিজ্ঞ মালীর মত চাষাবাদ সম্পর্কিত গভীর জ্ঞান। বনসাই এক 

অনন্য শিল্পকর্ম। তবে এ শিল্প সম্পুর্ণ জীবন্ত। অন্য প্রাণহীন শিল্পের সঙ্গে 

এটুকুই শুধু প্রভেদ।

বনসাইয়ের দরদাম নির্ভর করে গাছের বয়স ও গঠনের ওপর। সর্বনিম্ন তিন হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকায় বনসাই ক্রয় করতে পারেন। তবে মোটামুটি ভালোমানের একটি বনসাইয়ের জন্য ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা বাজেট রাখতে পারেন। বিভিন্ন বনসাই প্রদর্শনী, কৃষিমেলা এমনকি বনসাই প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকেও আপনি বনসাই সংগ্রহ করতে পারেন।


বনসাই এর কিছু ছবি



 আমি টিউন করেছি কারন আমার মনেহয় বনসাই টেকনোলজির সাথে কোন না কোন ভাবে সম্পৃক্ত। তারপরও আপনাদের যদি মনে হয় এ বিসয়ে এখানে টিউন করা ঠিক হবে না তা হলে প্লিজ টিউনমেনট করে জানাবেন আর হ্যা ভালো লাগলেও জানাবেন। এক কথায় আমি আপনাদের মতামত চাইছি এই ধারাবাহিকের পরবর্তি পার্ট গুলো লেখার জন্য।